Ticker

10/খামার ব্যবস্থাপনা/ticker-posts

নতুন কবুতর পালকদের সফলতার জন্য কিছু পরামর্শ /Some tips for the success of new pigeon breeders

কবুতর পালন প্রকৃত পক্ষে সৌখিনতার বিষয়। সাধারণত অন্য
কবুতর পালকে দেখেই নতুনদের মাঝে এই ইচ্ছা গুলো উজ্জীবিত হয়। এই ইচ্ছা থেকেই একজন নতুন কবুতর পালক, কবুতর পালন শুরু করে তবে বেশির ভাগ কবুতর পালকই জানে না কিভাবে কবুতর পালন করতে হবে।এই কারনেই সখের বশে কবুতর পালন শুরু করলেউ সঠিক পদ্ধতি না জানার কারণে কিছু দিনের মধ্যে ক্ষতির সম্মুখীন হন। আর যখন নতুন কবুতর পালক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পরে তখন সে কবুতর পালনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। সুতরাং কবুতর পালন করতে হলে অবশ্যই একজন নতুন কবুতর পালককে কবুতর পালন সম্পর্কে একটি প্রাথমিক ধারণা নিয়ে শুরু করা প্রয়োজন। একটা শ্লোক রয়েছে "দেখাদেখি চাষ দুঃখ বারো মাস" সুতরাং আগে জানুন বুঝুন পরে কবুতর পালন শুরু করুন।
আজ নতুন কবুতর পালকদের জন্য এমন কিছু প্রাথমিক টিপস উপস্থাপন করবো যে বিষয় গুলো প্রায়শই নতুন পালকরা ভুল করে থাকেন। আশাকরি নিন্মক্ত বিষয় গুলো অনুসরন করলে ইনশাআল্লাহ বড় ক্ষতির হাত থেকে পরিত্রাণ পাবেন।

🌺যে বিষয় গুলো নিয়মিত অনুসরণ করবেন।
 ১/যদি সম্ভব হয় প্রতিদিন ট্রে পরিষ্কার করবেন।।সম্ভব না হলে ২ দিন অন্তর অন্তর পরিষ্কার করবেন।

২/সম্পুর্ন লফ্টে সপ্তাহে কমপক্ষে ২ বার জীবানু নাশক স্প্রে করবেন।যেমনঃ ভাইরোসিড,টিমসেন ইত্যাদি জীবাণু নাশক দিয়ে।

৩/কবুতর সংগ্রহের পর বাসায় এনে আগে জীবাণু নাশক দিয়ে গোছল করাবেন। এবং সেটি মূল লফ্টে না দিয়ে আলাদা রাখবেন এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।কোন অবস্থাতেই এটিকে অবহেলা করা যাবে না।

৪/লফ্টে নতুন কোন কবুতর ঢুকানোর আগে কম পক্ষে ১০-১৪ দিন বাহিরে রেখে সুস্থ আছে কিনা সেটি পরীক্ষা করে তারপর গোসল করিয়ে লফ্টের ভেতরে ঢুকাবেন।

৫/ লফ্টের ভেতরে ৩/৪ জোড়া সেন্ডেল রাখবেন।। বাহিরের কোন সেন্ডেল পরে ভেতরে ঢুকতে দিবেন না এবং আপনি নিজেও বাহিরের কোন সেন্ডেল পরে লফ্টে আসবেন না।

৬/সব সময় ভালো মানের এবং পরিষ্কার খাবার  পরিবেশন করবেন।

৭/ প্রতি সপ্তাহে ৩ দিন ভালো মানের গ্রিট পরিবেশন করবেন।

৮/ সকাল বিকাল ২ বেলা একটা নির্দিষ্ট সময়ে খাবার পরিবেশন করবেন।। খাবার দেয়ার ১ঘন্টা পর খাবার+ পানি উঠিয়ে রাখবেন।

৮/প্রতিদিন কম পক্ষে ২ ঘন্টা সময় কবুতর কে দেয়ার চেষ্টা করুন।

৯/ কোন কবুতর অসুস্থ হলে সাথে সাথে লফ্টের বাহিরে বের করুন।।ধৈর্য্য হারা না হয়ে বুঝে শুনে চিকিৎসা করবেন। না বুঝলে অভিজ্ঞ কারো পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা দিবেন।

১০/ কবুতর কেনার ক্ষেত্রে দেখে তাড়াহুড়া না করে বুঝে, শুনে কোয়ালিটি সম্পন্ন কবুতর  কিনবেন।

১১/ ২ জোড়া বাচ্চা নেয়ার পর কমপক্ষে ১৫ দিনের সেপারেশন না রেস্ট দিয়ে বাচ্চা নিবেন।

১২/ বিনা কারনে কবুতরকে  মেডিসিন প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকুন।

১৩/ সালমোনিয়া + কৃমি+ লিভার টনিক এর কোর্স টা নিয়মিত করাবেন।

উপরোক্ত পোস্ট টি করার জন্য  RS PIGEON LOFT  পোস্ট এর কিছু অংশ শেয়ার করা হয়েছে। উক্ত পোস্টে তিনি তার বাস্তব জীবনের কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।https://www.facebook.com/rspigeon.loft.77

Writer:-                    RS PIGEON LOFT 

আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।আসা করি সাথেই থাকবেন। নতুন এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো পেতে আমাদের ব্লগটি Follow  করুন এবং নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান  মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকুন। এছাড়াও কোথাও কোন ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।

আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা   ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।

আল্লাহ হাফেজ

 *******Thank You *******

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ