Ticker

10/খামার ব্যবস্থাপনা/ticker-posts

কবুতর পালন সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনাঃ

কবুতর পালনের প্রাথমিক ধারনা
গৃহপালিত পাখির মধ্যে কবুতর আন্যতম। অনেকেই শখের বশে কবুতর পালন করে। কবুতর ওড়ানোর প্রতিযোগিতা প্রাচীন কাল থেকে অদ্যাবধি প্রচলিত আছে। গৃহপালিত কবুতরের বৈজ্ঞানিক নাম Columba livia domestica। সব গৃহপালিত কবুতরের উদ্ভব বুনো কবুতর (Columba livia) থেকে।কেউ কেউ বাণিজ্যিকভাবেও কবুতর পালন শুরু করেছে। কারণ কবুতর পালন খুবই লাভজনক। দেশী বিদেশী শতাধিক জাতের কবুতর আছে ৷ 
মোটামোটি ৪০০ টাকা থেকেশুরু করে লক্ষাধিক টাকা দামের কবুতর
বাংলাদেশেই পাওয়া যায় ৷ প্রথম দিকে বেশী দামী বিদেশী কবুতর না তোলাই ভালো৷প্রথম দিকে গোলা,গিরিবাজ, কাকজি, ঘিয়া সুল্লি,লক্ষ্যা, সিরাজী, হোমারের মত কমদামী কবুতর সংগ্রহ করাই ভালো এবংবেশী না কিনে ৫/৬ জোড়া দিয়ে শুরুকরা ভালো ৷

কবুতরের_জীবন_চক্রঃ
প্রতি জোড়া কবুতরে একটি পুরুষ ও একটি স্ত্রী কবুতর থাকে। এরা ২০-৩০ বছর পর্যন্তও জীবিত থাকে। এরা ডিম পাড়ে এবং পুরুষ ও স্ত্রী উভয় কবুতরই ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফোঁটায়। মোটামুটি ১৮ দিন ডিমে তা দেয়ার পর ডিম থেকে বাচ্চা ফোটে। একজোড়া কবুতর থেকে বছরে ১০-১২ জোড়া বাচ্চা পাওয়া যায়। বাচ্চা বয়স সাধারনত ৫ মাস হলে ডিম দেয়া শুরু করে। ডিম পাড়ার পর থেকে মর্দা ও মাদী কবুতর পর্যায়ক্রমে ডিমে তা দিতে শুরু করে। মাদী কবুতর প্রায় বিকেল থেকে শুরু করে পরের দিন সকাল পর্যন্ত ডিমে তা দেয় এবং বাকী সময়টুকু অর্থাৎ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মর্দা কবুতর তা দিয়ে থাকে। তা দেয়ার পঞ্চম দিনেই ডিম পরীক্ষা করে উর্বর বা অনুর্বর ডিম চেনা যায়।

আলোর সামনে ধরলে উর্বর ডিমের ভিতর রক্তনালী দেখা যায়। কিন্তু অনুর্বর ডিমের ক্ষেত্রে ডিমের ভিতর স্বচ্ছ দেখাবে।  ডিম থেকে বাচ্চা ফুটতে প্রায় ১৮ দিন সময় লাগে। বাচ্চাকে খাওয়ানোর জন্য কবুতরের প্রাকৃতিকভাবে দুধ উৎপন্ন হয় যাতে পানি থাকে ৭০%, আমিষ থাকে ১৭.৫%, চর্বি থাকে ১০%, খনিজ পদার্থ থাকে ২.৫%।

জন্মের প্রথম দিন থেকে ২৬ দিন বয়স পর্যন্ত কবুতরের বাচ্চার ক্রমবর্ধমান অবস্থা থাকে। প্রথমে সারা দেহ হলুদ পাতলা বর্ণের লোম দিয়ে ঢাকা থাকে।

এই সময় নাক ও কানের ছিদ্র বেশ বড় দেখায়। প্রায় ৪-৫ দিন পর বাচ্চার চোখ খোলে বা ফুটে। ১৫ দিনে সমস্ত শরীর পালকে ছেয়ে যায়। প্রায় ১৯-২০ দিনে দু'টো ডানা এবং লেজ পূর্ণতা লাভ করে ও ঠোঁট স্বাভাবিক হয়। এই ভাবে ২৬-২৮ দিনে কবুতরের বাচ্চা পূর্ণতা লাভ করে।

কবুতরের_শারীরক_তথ্যাদিঃ
* দেহের তাপমাত্রা = ৩৮.৮-৪০০ সে
* দৈহিক ওজন = (ক) হালকা জাতঃ ৪০০-৪৫০ গ্রাম, (খ) ভারী জাতঃ ৪৫০-৫০০ গ্রাম
* পানি পান = (ক) শীতকালঃ ৩০-৬০ মিলি প্রতিদিন, (খ) গ্রীষ্মকালঃ ৬০-১০০ মিলি প্রতিদিন।
* খাদ্য গ্রহণ = ৩০-৬০ গ্রাম প্রতিদিন (গড়)

কবুতর এর বাসস্থানঃ
ভালো বাসস্থান কবুতর পালনের জন্য খুবই দরকারী। উত্তম নিষ্কাশন, পর্যাপ্ত সূর্যের আলো এবং বাতাস চলাচল এর ব্যবস্থা থাকা জরুরী।

তিনটি পদ্ধতিতে কবুতর পালন করা যায়।

১.মুক্ত পদ্ধতিতেঃ
কবুতরের ঘর  খামারীর আবাসস্থল থেকে ২০০-৩০০ ফুট দুরে এবং দক্ষিণমূখী হওয়া উচিত। মাটি থেকে ঘরের উচ্চতা ৮-১০ ফুট।একটি খামারের জন্য ৩০-৪০ জোড়া কবুতর আদর্শ। এরূপ ঘরের মাপ হবে ৯ ফুট ৮.৫ ফুট। কবুতরের খোপ ২-৩ তলা বিশিষ্ট করা যায়। এরূপ খোপের আয়তন প্রতিজোড়া ছোট আকারের কবুতরের জন্য ৩০ সে. মি.x ৩০ সে.মি.x ২০ সে.মি. এবং বড় আকারের কবুতরের জন্য ৫০ সে. মি.x ৫৫ সে.মি. x৩০ সে.মি.।

২.খাঁচার কবুতর পালনঃ
বর্তমানে অনেক শৌখিন ব্যক্তি খাঁচায় বিভিন্ন ধরনের নজরকাড়া কবুতর (fancy pigeon) পুষে থাকছেন। এই সৌখিন কবুতর যে কত সুন্দর হতে পারে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। খাঁচার আকার বা সাইজ কি হবে তা নির্ভর করে আপনি কি ধরনের কবুতর পালতে চাচ্ছেন তার উপর। যদি আপনি শুধু গিরিবাজ পালতে চান তাহলে। ১৪*১৪*১৬ ইঞ্চি হলে ভাল। আর যদি সৌখিন কবুতর পালতে চান তাহলে সাধারণত আদর্শ মাপ হল- ২৪*২৪*১৮ ইঞ্চি বা ২৪*২৪*২০ ইঞ্চি হলে আরও ভাল।

৩.ঘর এর মধ্যে উন্মুক্ত পদ্ধতিঃ এ পদ্ধতিতে আনেক গুলো কবুতর এক সাথে পালন করা যায়। একটি খামারের জন্য ৩০-৪০ জোড়া কবুতর আদর্শ। এরূপ ঘরের মাপ হবে ৯ ফুট ৮.৫ ফুট।অল্প খরচে সহজে ঘর তৈরি এবং স্থানান্তরযোগ্য যা কাঠ, টিন, বাঁশ, খড় ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করা যায়।ঘর এর মধ্যে কবুতর এর ডিম পারার জায়গা তৈরি করে দিতে হয়। খামারের ভিতরে নরম, শুষ্ক খড়-কুটা রেখে দিলে তারা ঠোঁটে করে নিয়ে নিজেরাই বাসা তৈরি করে নেয়।

আমাদের দেশে ১শ’টিরও বেশি জাতের কবুতর রয়েছে। এছাড়া বর্তমানে কিছু বিদেশি কবুতরও দেখা যায়। জাতগুলো হলো- গোলা, গোলি, ময়ূরপঙ্খী, ফ্যানটেল, টাম্বলার, লোটান, লাহরি, কিং, জ্যাকোবিন, মুকি, সিরাজী, গ্রীবাজ, চন্দন প্রভৃতি।

প্রাথমিকভাবে কবুতর পালন করার জন্য কম দামি কবুতর দিয়েই শুরু করা উত্তম। আমাদের দেশে মোটামোটি ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে লক্ষাধিক টাকা দামের কবুতর বাংলাদেশেই পাওয়া যায় ৷ প্রথম দিকে বেশী দামী বিদেশী কবুতর না তোলাই ভাল ৷ প্রথম দিকে গোলা,গিরিবাজ, কাকজি, ঘিয়া সুল্লি,লক্ষ্যা, সিরাজী, হোমারের মত কম দামী কবুতর সংগ্রহ করাই ভালো এবং বেশী না কিনে ৫/৬ জোড়া দিয়ে শুরু করা ভালো ৷




কবুতরের ভালো মন্দ নির্ভর করে কবুতরের খাবারের উপর ৷ অনেকেই মনে করেন, কবুতরের জন্য ভালো মানের খাবারের দরকার নাই ৷ কবুতরের রোগ প্রতিরোধ, ডিম দেয়া, বাচ্চা ফোটানো নির্ভর করে খাবারের উপর ৷

শখ করে পালেন আর ব্যবসায়িকভাবে,কবুতরকে অবশ্যই ভালো মানের এবং বিভিন্ন ধরনের খাবার দিতে হবে ৷ শুধু গম আর ধানের উপর নির্ভর করলে চলবে না। কবুতর গম, ভুট্টা, সরিষা, অ্যাংটা, চাউল, কাউন, সবুজ মটর, বাজরা, খেশারী, চিনা, তৃষি, ডাবলি, সূর্যমূখীর বীচ, কুসুম ফুলের বীজ, বাদাম, ইত্যাদিসহ সব ধরনের শস্যদানা খায় ৷ সব কবুতর উল্লেখিত সবগুলো খাবার নাও খেতেপারে ৷ গম, ভুট্টা, সরিষা, অ্যাংটা, চাউল, সবুজ মটর, চিনা, তৃষি, সূর্যমূখীর বীচ, কুসুম ফুলের বীজ সব কবুতরই খায় ৷ শর্করা সমৃদ্ধ খাবার (গম, ভূট্টা, সবুজ মটর, চাউল) বেশি (৭৫%) এবং তেলবীজ (সরিষা, সূর্যমুখী ও কুসুম ফুলের বীজ) কম (২৫%) দিতে হবে ৷

রেজাতে কোন খাদ্যগুন নাই ৷ এ ছাড়া এতে রোগের জীবানু বহন করে ৷ তাই কবুতরের খাদ্য তালিকায় রেজা রাখবেন না ৷কবুতরের খাবার কিনে এনে ভালভাবে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে খাওয়াতে হবে ৷ বাজারে যেভাবে সংরক্ষণ করা হয় তাতে এগুলোতে জীবাণু জন্মে ৷ পরিষ্কার না করলে কবুতর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবে ৷ এছাড়া শস্যদানা সংরক্ষণের জন্য রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, যা কবুতরের জন্য ক্ষতিকর ৷ কেউ যদি সরাসরি ভাঙ্গা ভুট্টা কবুতরকে খাওয়ান , তাহলে বলব সেই কবুতর পালক তৈলাক্ত বাসে উঠার চেষ্টা করছেন, তিনি এক ফুট উঠলে ২ ফুট নেমে যাচ্ছেন। ভাঙ্গা ভুট্টাতে অনেক রোগ জীবাণু থাকে, আপনি যদি এটাকে সেদ্ধ করে না খাওয়ান তাহলে আপনার কবুতর সাল্মনেলিসিস, রক্ত আমাশয়ের মত মারাত্মক রোগে ভুগবে । সেদ্ধ না করলেও অবশ্যই রোদে শুকিয়ে খাওয়াতে হবে ৷একটা সাধারণ সাইজের (৪৫০ গ্রাম ওজনের) কবুতর প্রতিবার গড়ে ৩০ গ্রাম খাবার খায় ৷ সাইজ বড় হলে বেশি খায় ৷

দিনে কমপক্ষে দুইবার খাবার দিতে হবে ৷ খাবার পাত্র ভরে না দিয়ে যতটুকু খাবে ততটুকুই দেয়া উচিত ৷ বেশি দিলে খাবার নষ্ট করবে ৷ যারা কবুতর উড়াতে চান,তারা অবশ্যই বেশি খাবার দেবেন না ৷ কবুতর গড়ে ৪৫ মিলি পানি পান করে ৷ গরমের সময় এর পরিমাণ দ্বিগুণ হয় ৷ পানিও একসাথে বেশি দেবেন না ৷ পানির সাথে ঔষুধ মেশাতে হয়, যার সাথে খরচের সম্পর্ক আছে ৷ কবুতরের খাবার ও পানির পাত্র পরিষ্কার রাখতে হবে ৷ সকালে পানি দেবার পর দুপুরে ফেলে দিয়ে আবার নতুন পানি দিতে হবে ৷

 পানির পাত্র পরিষ্কার করার সময় খেয়াল রাখতে হবে, পাত্রের ভিতর যেন মিউক্যাস না থাকে ৷ এটা সালমোনেলার কারন ৷অনেকে কবুতর মোটা করার জন্য ব্রয়লার গ্রোয়ার খাওয়ান ৷ ব্রয়লার গ্রোয়ার হাসমুরগির জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি ৷ জেনে রাখুন হাস মুরগি যা হজম করতে পারে, কবুতর তা করতে পারে না ৷ ব্রয়লার গ্রোয়ার সাধারণত অনেক দিন পরে থাকে ৷ তাই এতে ফাঙ্গাস হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না ৷কবুতর পোকা মাকড় খেতে চাইলে আমরা বাধা দেই না ৷ পাখিরা সাধারণত পোকা মাকড় খায় ৷ অনেক পাখির তো মূল খাবারই পোকা মাকড় ৷ কবুতরের পিত্ত থলি না থাকায় কবুতর সব কিছু হজম করতে পারে না, তাদের মধ্যে পোকা মাকড়অন্তর্ভুক্ত ৷ তাই পোকা মাকড় অন্যান্য পাখিই খাক, কবুতর না ৷অনেকেই মনে করেন, কবুতরকে গ্রিট দিতে হয় না ৷ এটা ভুল ৷


অনেকে গ্রিট না দিয়ে ডিমের খোসা, ইটের গুড়া, ঝিনুক গুড়া দিয়ে থাকেন ৷ গ্রিটে এ তিনটি উপাদান থাকে, তবে শুধু এ তিনটি উপাদানই যথেষ্ঠ না ৷সপ্তাহে অন্তত দুই দিন গ্রিট দিতে হবে ৷ অনেকে আবার মনে করেন, গ্রিট কবুতরের ডিমের খোসা শক্ত করে, ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে ৷ গ্রিট ক্যালসিয়ামের অভাব কিছুটা পূরণ করে বটে ৷ গ্রিট মূলত খাবার হজমে সাহায্য করে, খনিজ লবনের অভাব পূরণ করে ৷ গ্রিট কিনতে অথবা নিজে তৈরি করতে পারেন ৷ গ্রিট তৈরির রেসিপি পরবর্তীতে জানানো হবে ইনশা আল্লাহ ৷.

 মাঝে মাঝে কালজিরা, মেথি, মৌরি, জাউন (৪০% + ৩০% + ১৫% + ১৫%) মিশিয়ে সরবরাহ করতে পারেন ৷ সব জাতের কবুতর এই মিশ্রণের সবগুলো খায় না ৷ তাই গুড়ো করে পানিতে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন অথবা হাতে ধরে ৷.• মধু, রসুন, লেবুর রস, কাঁচা হলুদ, অ্যালোভেরা, কাঁচা শাক-সবজি, এগুলো কবুতরকে সজিব রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও নিম পাতা, মটর শুটি, অঙ্কুরিত ছোলা বুট কবুতরের জন্য উপকারী। কবুতরকে সপ্তাহে ১ দিন এক বেলা উপবাসে রাখা উচিত । এতে কবুতরের কর্পে সঞ্চিত খাদ্য হজম হয় ৷ ফলে বিভিন্ন রোগ থেকে বেঁচে থাকে ।
প্রয়োজনীয় পোষ্ট পেতে আমাদের ব্লগটি Follow  করুন এবং আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকবেন এবং কোথাও ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।

আপনি আরও পড়তে পারেন:

কবুতরের ঠান্ডা জনিত সমস্যা চিকিৎসায় প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার।

অসুস্থ কবুতরের চিকিৎসায় প্রতিকারের পাশাপাশি প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব এবং পরবর্তী পদক্ষেপ। 



আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা   ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।

আল্লাহ হাফেজ

স্ট্যাডি ও তথ্য সংগ্রহঃ বিভিন্ন রিসার্চ আর্টিকেল,পিজন রিলেটেড বই,ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা,বিভিন্ন খামারি ও ভেটেরিয়ানদের পরামর্শ।

তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD

   *******Thank You *******
#কবুতরপালন #pigeon #information
#informative
#feralrockdove
#feralrockdovevspigeon
#feralpigeonrockdove
#feraldomesticrockpigeon
#feralrockpigeon
#কবুতরপালন #কবুতরেরছবি
#কবুতরেরঘর #কবুতরেরখামার
#কবুতরেরখাবার #কবুতরেরদাম
#কবুতরছবি

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ