কবুতর পালন করতে গিয়ে আমরা বিভিন্ন সময়ে অসুস্থ কবুতরকে সঠিক ভাবে নার্সিং করতে ব্যর্থ হই এবং উল্টাপাল্টা বিভিন্ন রকম এন্টিবায়োটিক মেডিসিন খাইয়ে কবুতরকে আরও অসুস্থ করে ফেলি। অতঃপর চিকিৎসা জানতে অনলাইনে হেল্প পোস্ট কিংবা ইনবক্সে পরামর্শ চেয়ে থাকি। একটি অসুস্থ কবুতরকে সুস্থ করতে যতটা মেডিসিন এর প্রয়োজন,তার চেয়েও বেশি সঠিক নার্সিং এর প্রয়োজন। আপনার খামারের কয়েকটি কবুতর খুবই অসুস্থ, নিজে নিজে খেতে পারে না, বা খাবার খাইয়ে দিলে উপড়ে ফেলে দেয়। সে ক্ষেত্রে আপনি কি করবেন, সকালবেলা ঔষধ ও খাবার পানি খাইয়ে অফিসে চলে গেলেন, এবং বিকেল বেলা বাসায় এসে আর খাবার ও ঔষধ পানি খাওয়ালেন। কিন্তু মাঝখানে যে লম্বা সময় অতিবাহিত হল। ওই সময় কবুতর গুলো আরো কয়েক বার বমি করল। শারীরিকভাবে আরো দুর্বল হয়ে পরল। সর্বপরি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও কমে গেল। এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার কারণে রোগ থেকে সেরে ওঠার সম্ভাবনা আরও কমে গেল।
কিংবা সেরে উঠলেও টাল হবার সম্ভাবনা ও প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হবার সম্ভাবনা রয়ে গেল। এক্ষেত্রে করণীয় কবুতরের ন্যাচারাল খাবার, অর্থাৎ ফ্যাট, মিনারেল, আয়রন, ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার। যেমনঃ- ভুট্টা, ছোলা বুট, গম, চিনাবাদাম, কিংবা পেস্তা বাদা,দের থেকে দুই ঘণ্টা ভিজিয়ে বেলেনডারে লিকুইড করে তার সাথে ইলেক্ট্রোমিন স্যালাইন, লাইসোভিট, কিংবা গ্লুকোজ, এনজাইম, ও সামান্য লেবুর রস মাঝে মাঝে। মিক্স করে খাওয়ানো জরুরী।
তবে একবারে বেশী না খাইয়ে বারবার অল্প অল্প করে, অর্থাৎ ৫ কিংবা ১০ মিলি করে দিনে চারপাঁচ বার খাওয়ানো ভালো। কারন এধরনের অসুস্থ কবুতরের ডাইজেস্ট ক্ষমতা কম থাকে। তাই একবারে বেশী খাওয়ালে বমি করে ফেলে দেয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং এভাবে বারবার বমি করার কারনে কবুতর আরো বেশি দুর্বল হয়ে পরে। প্রতিবার খাবার খাওয়ানোর দশমিনিট আগে টক্সস্লিন মিশ্রিত পানি খাওয়ানো দরকার। কারন টক্সস্লিন মিশ্রিত পানি খাওয়ানো হলে কবুতরের পেটের ব্যাকটেরিয়ার কার্যক্রম নিষ্ক্রিয় থাকে।
ফলে মেডিসিনের কার্যকারিতা বেরে যায় এবং বমি করাও আস্তে আস্তে কমে আসে।
অনেকেই ধারণা করে কবুতর বমি করলে মটিগার্ড কিংবা এমোডিস খাওয়ালে বমি কমে যায় এটা সম্পুর্ণ ভুল ধারনা। আসলে কবুতর বমি করে যখন কবুতরের পেটে ব্যাকটেরিয়া সচল থাকে ফলে ডাইজেস্ট ক্ষমতা কমে যায় ।
তখনই কবুতর বমি করে, অনেক সময় কৃমি সচল থাকলেও বমি করতে পারে।
মনে রাখবেন এধরণের অসুস্থ কবুতরের ক্ষেত্রে মেডিসিনের চেয়ে নার্সিং বেশী জরুরী।
আপনি আরও পড়তে পারেন:
কবুতরের ঠান্ডা জনিত সমস্যা চিকিৎসায় প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার।
অসুস্থ কবুতরের চিকিৎসায় প্রতিকারের পাশাপাশি প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব এবং পরবর্তী পদক্ষেপ।
কবুতরের ব্রিডিং বিরতি বা রেষ্ট কেন দিবেন ? ব্রিডিং বিরতি বা রেষ্ট এর প্রয়োজনিয়তা।
আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।আসা করি সাথেই থাকবেন। নতুন এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকুন। এছাড়াও কোথাও কোন ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
Acknowledgment of gratitude:- Khandokar Asaduzzaman Kajol
Senior Pigeon Breeder and Admin(Only Fancy Pigeon Club in Bangladesh)
Senior Pigeon Breeder and Admin(Only Fancy Pigeon Club in Bangladesh)
আল্লাহ হাফেজ
🌼🌼Thank You For Visit Our Site🌼🌼
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks for Commenting! please follow our blog and see update continue