কবুতর বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে, কবুতরের রোগ গুলোর মদ্ধে Infectious catarrh একটি যাকে আমরা শ্লেষ্মাজনিত বা সর্দিজনিত রোগ বলে থাকি। শ্লেষ্মাজনিত বা সর্দিজনিত রোগ মুলত শ্বাসতন্ত্রের একটি রোগ যা মাইকোপ্লাজমা, ভাইরাস,ছত্রাক, ত্রিকোযোমাডস এর সংমিশ্রণে কবুতরের শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।এ রোগ এর কারনে কবুতরের রোগ প্রতিরোধ ব্যকটেরিয়া সংক্রামিত হয় এবং লফ্টের মধ্যে ছরায়।
এ রোগ এর লক্ষণ ও উপসর্গঃ
প্রথমিক পর্যায়ে যে সকল লক্ষণ দেখা দিবেঃ-
১. ড্রপিংএ পানির পরিমান বেশি থাকবে।
২.মুখ হা করে শ্বাস নিবে।
৩.ঝিম ধরে বসে থাকবে।
তীব্র পর্যায়ে যে সকল লক্ষণ দেখা দিবেঃ-
প্রাথমিক লক্ষণ গুলোর সাথে এগুলো থাকবে
১. ড্রপিংয়ের রং সাদা এবং হলুদ বাদামি হবে।
২. অতিরিক্ত পানি পান করবে।
৩.খাওয়া কমে যাবে।
৪. উরতে অনীহা প্রকাশ করবে।
৫. ঠোঁটের কনায় ও নাকের ছিদ্রের রং ধুসর বাদামী হয়ে যাবে।
৬. মুখের ভেতর লালা থাকতে পারে।
উন্নত বা চুরান্ত পর্যায়ে যে সকল লক্ষণ দেখা দিবেঃ-
তীব্র পর্যায়ের লক্ষণ গুলোর সাথে এগুলো থাকবে।
১. প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট হবে।
২. শ্বাসতন্ত্রের আওয়াজ বাসির মত শোনাবে।
৩. গর গর করে শব্দ করবে যা দূরথেকেও শোনা যাবে।
৪. খাওয়াদাওয়া ছেরে দিবে।
৫. নাক দিয়ে বা মুখ দিয়ে লালা পরতে পারে।
সংক্রামিত কবুতরের জন্য করনীয়ঃ
১. কবুতরকে গোসল করানো যাবে না।
২. ক্যালসিয়াম বা এই জাতীয় ঔষুধ প্রয়োগ করা যাবে না।
৩. অসুস্থ কবুতরকে আলাদা করে চিকিৎসা করতে হবে এবং উক্ত কবুতরের ব্যবহার্য সকল কিছু জীবাণু নাশক দ্বারা পরিস্কার করতে হবে।
প্রতিরোধে করনীয় বিষয়ঃ
১. খামারে পযাপ্ত আলো বাতাস চলাচলের ব্যবস্হা করতে হবে।
২. খামারে যাতে গ্যাস জমতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৩. খামারের জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. সপ্তাহে কমপক্ষে ১দিন তুলসীপাতা ও আদার দ্রবণ খাওয়ানো।
চিকিৎসাঃ-
প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দেবার সাথে সাথে অভিজ্ঞতা সম্পর্ন কারো পরামর্শ নেয়া বা দ্রুত ভেটেরিনারি ডাক্তার এর পরামর্শ নেয়া।
প্রাথমিক চিকিৎসা হিসাবে তুলসীপাতার রস ও মধু একত্রিত করে খাওয়ানো যেতে পারে।
প্রয়োজনীয় পোষ্ট পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকবেন এবং কোথাও ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ
স্ট্যাডি ও তথ্য সংগ্রহঃ বিভিন্ন রিসার্চ আর্টিকেল,পিজন রিলেটেড বই,ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা,বিভিন্ন খামারি ও ভেটেরিয়ানদের পরামর্শ।
তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
*******Thank You *******
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks for Commenting! please follow our blog and see update continue